বিটরুট গুঁড়া

200.00৳ 1,800.00৳ 

বিটরুট গুঁড়া হলো বিটরুট (লাল শাকমূল) শুকিয়ে তৈরি করা একটি প্রাকৃতিক পাউডার, যা পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি সাধারণত বিটরুট টুকরো করে শুকিয়ে বা ডিহাইড্রেট করে গুঁড়া করা হয়। এতে ভিটামিন C, আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবারসহ বিভিন্ন উপকারী উপাদান থাকে। বিটরুট গুঁড়া সহজে সেবনযোগ্য এবং এটি বিভিন্ন ধরনের খাবার, স্মুদি, জুস, বা সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়।

Share:

Product Description

বিটরুট গুঁড়া খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্যগত উপকারিতা রয়েছে। এটি প্রচুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং শরীরের নানা প্রয়োজনীয় কাজে সহায়তা করে। এর কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা হলো:

  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: বিটরুটে থাকা নাইট্রেট শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তরিত হয়, যা রক্তনালীগুলোকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে, ফলে রক্তচাপ কমে আসে এবং হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
  • শারীরিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি: বিটরুট গুঁড়া শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ায়, ফলে ব্যায়ামের ধকল কমে এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  • রক্তশূন্যতা দূর করা: বিটরুটে উচ্চমাত্রায় আয়রন থাকে, যা রক্তশূন্যতা কমাতে সহায়ক। এটি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে রক্তের গুণগত মান উন্নত করে।
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: বিটরুটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীর থেকে ফ্রি র‍্যাডিকাল অপসারণে সাহায্য করে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
  • হজমশক্তি বৃদ্ধি: বিটরুট গুঁড়ায় থাকা ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
  • ত্বক ও চুলের যত্নে সহায়ক: বিটরুট গুঁড়ায় থাকা ভিটামিন C এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করে, চুল মজবুত করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
  • মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি: বিটরুট গুঁড়া মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাড়ায়, যা স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং মানসিক অবসাদ কমায়।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ: কম ক্যালোরিযুক্ত এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে। এটি দীর্ঘ সময় ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমায়।

বিটরুট গুঁড়া নিয়মিত সেবন করলে এ সব উপকারিতা পাওয়া যায়, যা শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

 

বিটরুট গুঁড়া খাওয়ার কিছু সহজ ও কার্যকরী নিয়ম নিচে উল্লেখ করা হলো:
  • পানি বা দুধের সঙ্গে:  ১-২ টেবিল চামচ বিটরুট গুঁড়াকে এক গ্লাস পানিতে বা দুধে মিশিয়ে নিন। এটি ভালভাবে মিশিয়ে সকাল বা বিকেলের নাশতা হিসেবে পান করুন।
  • স্যালাডে: স্যালাডে ১ টেবিল চামচ বিটরুট গুঁড়া যোগ করুন। এটি স্বাদ এবং পুষ্টি বৃদ্ধি করবে।
  • দইয়ের সঙ্গে: দইয়ের মধ্যে বিটরুট গুঁড়া মিশিয়ে প্রাত্যহিক স্ন্যাক হিসেবে খেতে পারেন। এতে ফাইবার এবং প্রোটিনের পাশাপাশি প্রোবায়োটিকও থাকবে।
  • বেকড আইটেমে: কেক, ব্রেড বা অন্যান্য বেকড আইটেমে বিটরুট গুঁড়া ব্যবহার করুন। এটি স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি রঙও দিবে।
  • প্যানকেক বা ওয়াফেলে: প্যানকেক বা ওয়াফেল তৈরির সময় এর ব্যাটারে বিটরুট গুঁড়া যোগ করুন। এটি একটি স্বাস্থ্যকর এবং রঙিন নাশতা তৈরি করবে।
  • রেসিপি হিসেবে: বিভিন্ন তরকারি, স্যুপ বা ডালের মধ্যে বিটরুট গুঁড়া যোগ করতে পারেন। এটি পুষ্টি ও স্বাদ উভয়ই বাড়াবে।
খাওয়ার পরিমাণ:

বিটরুট গুঁড়া সাধারণত দৈনিক ১-২ টেবিল চামচ পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে। তবে, এটি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের উপর ভিত্তি করে পরিমাণ পরিবর্তন করা যেতে পারে। 

বিটরুট গুঁড়া সঠিকভাবে ব্যবহার করলে এটি স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবারের একটি অংশ হয়ে উঠতে পারে।

Scroll to Top